ট্রাপিজিয়াস মায়ালজিয়ায় ঘাড় ও কাধের ব্যথা হলে করনীয়
ট্রাপিজিয়াস মায়ালজিয়ায় ঘাড় ও কাধের ব্যথা হলে করনীয়

আমরা ঘাড় ব্যথায় সর্বদায়ই ভোগে থাকি। একেক জনের ঘাড়ের ব্যথার ধরন এক এক রকম। শুধু বলে থাকি ঘাড়ে ব্যথা। আবার ঘাড় থেকে ব্যথা কাধের ঠিক নিচে ও অনুভব করে থাকি। ঘাড় থেকে দুই পাশ দিয়ে নেমে ত্রিভুজ আকৃতি ধারন করে কাধের নিচে এসে শেষ হয়েছে। এই মাংশপেশীতে সমস্যা হলে আপনার ঘাড়ে ও কাধে ব্যথা হয়ে থাকে। আর এই ব্যথার মেডিকেল ডায়াগনোসিস হচ্ছে trapezious myalgia.

Trapezious muscle এর কাজ হচ্ছে ঘাড়কে পিছনে, সামনে নেওয়া, ডানে বামে ঘুরানো। 

কেন হয়? 

দীর্ঘক্ষন বসে একটানা ডেস্কে কিংবা কম্পিউটারে কাজ করা, মাথায় ভারী কিছু নেওয়া, ঘাড়ের মেরুদন্ডের গঠনগত পরিবর্তন, মাংশপেশিতে টান লাগা, ঘুমানোর অস্বাভাবিক পজিশন গত কারন গুলোর জন্যই ব্যথা হয়ে থাকে।

কিভাবে বুঝবেন আপনার এই সমস্যা হয়েছে?

যদি দেখেন আপনার ঘাড় কোন দিকে ঘুরাতে পারছেন না, প্রচুর ব্যথা, ব্যথায় রাতের ঘুম হারাম, ব্যথা কাধের দিকে টান লাগে। দীর্ঘদিন ঔষধ খেয়েও ব্যথা কমাতে পারছেন না। ঠিক তখনই আপনি চিকিৎসকের শরনাপন্ন হবেন। 

তবে এই উপসর্গের মিল থাকলে মনে মনে ভাবতে পারেন ট্রাপিজিয়াস মায়ালজিয়া সমস্যার কারনেই ব্যথা হচ্ছে। চিকিৎসকই নিশ্চিত করে দিবেন।  তবে ঘাড়ের এক্স-রে সহ আরো কিছু টেস্ট লাগতে পারে। তবে বয়স বেশি হলে হাড় ক্ষয়জনিত সমস্যা আছে কিনা তা দেখতে হয়। 

চিকিৎসা 

চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে ঔষধ এবং সাথে ফিজিওথেরাপি। দেখা যায় একজন রোগী কেবল বছরের পর বছর ঔষুধ খেয়েই যাচ্ছে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয় না। ঔষধ কাজ করে যদি কোন প্রদাহ/ইনফেকশন, প্যাথলজিকাল সমস্যা থাকে।এটা তো আর প্যাথলজিকাল সমস্যা নয়। 

এই ব্যথা কমানোর জন্য মেরুদন্ডের গঠনগত অস্বাভাবিক পরিবর্তনকে স্বাভাবিক করা,  স্বাভাবিক নিয়ম মেনে বসে কাজ করা, মাংশপেশির স্ট্রেচিং, মুলিগান টেকনিক, থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ,  টেন্স, আল্ট্রাসাউন্ড এবং এরপরে ও যদি ব্যথা না কমে তাহলে এডভান্স লেভেলের চিকিৎসা করতে হয়। তবে সাথে সাথে চিকিৎসা নিলে অল্প কয় দিনেই ব্যথা সেরে যায়। আর ঔষধ খেয়ে খেয়ে ব্যথা ধমিয়ে রাখলে কিংবা ১-৩ মাসের বেশি সময়ের ব্যথা নিয়ে আসলে একজন রোগীর ব্যথা কমতে ৩ সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। আর সাথে ফলোআপ।

Post a Comment

Previous Post Next Post